অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুর্নবহালের  দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুর্নবহালের  দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : অপসারণকৃত পৌরসভার কাউন্সিলরদের পুর্নবহালের দাবীতে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে ঝিনাইদহের ৬টি পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ পোস্ট অফিস মোড়ে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশন এই কর্মসুচির আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসুচি পালন শেষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শৈলকুপা পৌরসভার কমিশনার আবদুর রকিব, ঝিনাইদহ পৌরসভার শামসুল আরেফিন কায়সার, ফারহানা রেজা আনজু,বুলবুলি বেগম, কোটচাঁদপুর পৌরসভার আব্দুর রাকিব, মহেশপুর পৌরসভার রহুল আমিন মিন্টু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মুক্তার হোসেন ও হরিণাকুন্ডু পৌরসভার নাসির উদ্দীন ।

সভায়  বক্তাগন বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণের পর জেলার সব পৌরসভার কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। নাগরিকরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না। জন্ম-মৃত্যু ও নাগরিক সনদ পেতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। শহরগুলো ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর পাড়া মহল্লায় সড়ক বাতি জ্বলছে না। নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায় দুর্গন্ধে নাগরিকরা বসবাস করতে পারছে না। কাউন্সিলরগন প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার বিপ্লবে যে স্বাধীনতা জাতি পেয়েছে তা কি এই ভোগান্তি আর জনদুর্ভোগের জন্য ? আমরাও ছাত্র জনতার সঙ্গে ছিলাম। আমাদের সন্তানরা মাঠে ছিল, আন্দোলনে ছিল। পৌর নাগরিকদের এ অবস্থা চলতে পারে না।
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, যারা অন্যায় ও অপকর্ম করেছে, তাদের জন্য সব কাউন্সিলরকে শাস্তি দেওয়া বৈষম্যমূলক।
যেসব কাউন্সিলর সরাসরি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তি দিলে কেউ প্রতিবাদ করবে না। একই সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল, কাউন্সিলররা তাদেরও শাস্তির দাবি জানান। সাইফুল ইসলাম মধু আরো বলেন, আমরা কোনো দলের রাজনীতি করে কাউন্সিলর হইনি, আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।
আমাদের কেন অপসারণ করা হবে? অবিলম্বে দায়িত্বে ফিরে আবার দেশ গঠন ও মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে চাই। উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের সব পৌরসভার মেয়র এবং পরে কাউন্সিলরদের অপসারণ করে। ফলে পৌরসভাগুলোতে নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌছিয়েছে।