গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, “মানুষ হত্যার দায়ে হাসিনা, কাদেরসহ তাঁর দোসরদের বিচার ও ফাঁসি দিতে হবে। তাঁদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশের মানুষ ঘরে ফিরবেনা”।
“৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে গাংনী উপজেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে আয়োজিত র্যালিশেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ—সভাপতি আব্দুর রউফ মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ—সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার।
গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবলু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ—সভাপতি আব্দুল্লাহেল মারুফ পলাশ গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক খাইরুল আলম কালাম, রাইপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম, রাইপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যার মিজানুর রহমান ভিজা, গাংনী পৌর বিএনপির অর্থ বিষয়ক গোলাম হোসেন, জেলা কৃষকদলের সেক্রেটারী মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন, কৃষকদল নেতা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসমা তারা, গাংনী উপজেলা মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য ছামিরন নেছা, বিএনপি নেত্রী মরিয়ম খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার আমলে এদেশের মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, হুলিয়া, ধর্ষণ, লুন্ঠণ সব হয়েছে। আল্লাহর অভিশাপে হাসিনা ও তার মন্ত্রী—এমপিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমরা তাঁকে আর এই দেশে ফিরে আসতে দিতে পারিনা।
তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বরকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ জিয়াকে এদেশের মানুষ ভালোবেসেছিল বলেই সিপাহি—জনতা দেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের কল্যাণ—অগ্রগতির জন্য বন্দিশালা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।
বিএনপির নেতাকর্মী শান্তিপ্রিয় উল্লেখ করে আমজাদ হোসেন আরও বলেন, বিদায়ের আগে স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিল, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে দেশের ১০/১৫ লক্ষ মানুষ এক রাতেই মারা যাবে”। কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের কেউ মারা যায়নি। অথচ, তাঁরা ক্ষমতায় থাকার সময়ে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, এই প্রজন্মের মানুষ ৭৪ এর দূর্ভিক্ষ দেখেননি। ৭৪ এর সেই দূর্ভিক্ষে মানুষ ও কুকুর কাড়াকাড়ি করে খাবার খেয়েছে। ডাষ্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছে মানুষ। শেখ মুুজিবের শাসনের সেই ৭৪ এর দূর্ভিক্ষের মত আবারও খাবার খেতে চান ? প্রশ্ন করেন তিনি।
আওয়ামীলীগের উদ্যোশ্যে তিনি বলেন, অতীতে যা করেছেন তার কোনো কিছুর জবাব দেওয়া হয়নি। শান্তির সাথে বসবাস করছেন। অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেত্মত্বারা ১০ তারিখে সারাদেশ দখল করার হুমকী দিয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে আওয়ামীলীগের প্রেত্মাত্বাদের সেই হুমকীর দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে।
এর আগে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নেতা কর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে গাংনী ফুটবল মাঠ জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিরাট র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বাসষ্ট্যান্ড শহীদ আবু সাঈদ চত্তরে এসে শেষ হয়।
Leave a Reply