আন্দুলবাড়িয়া সংঘবদ্ধ হামলায় বিএনপি কর্মী রক্তাক্ত জখম !

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রস্তুতি মুলক সভাশেষে সংঘবদ্ধ হামলায় হাসুয়া কোপে দু’ বিএনপি কর্মীকে রক্তাক্তভাবে জখম করা হয়েছে। গত  বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রক্তাক্তভাবে আহত শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তাজমুল হোসেন তাজু (৪৭)কে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে আহত তাজমুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গুরুত্বর আহত শফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। রক্তাক্ত আহত শফিকুল ইসলাম ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে ও তাজমুল হোসেন একইপাড়ার মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। পুলিশ হামলাকারী আন্দুলবাড়িয়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর ও ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় রক্তাক্ত আহত শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

জীবননগর থানায় ইমন আলীর দায়ের করা এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাশেষে ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে মিন্টু, তার সহোদর শিলু, মৃত আজির বক্সর ছেলে আব্দার রহমান, ফজলুর রহমানের ছেলে
মিনারুল ইসলাম ও মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে বজলুর রহমান সংঘবদ্ধভাবে খুন ও জখম করার উদ্দেশ্যে বাঁশ, লোহার রড ও ধারালো হাসুয়া দিয়ে আমার পিতা শফিকুল ইসলামকে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎক তার মাথায় ৪টি সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে।

আমার চাচা তাজমুল হোসেন বাঁধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়াও প্রভাবশালী আসামীরা আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে। সাক্ষ্য গনের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্ত্তি করা হয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আসামী মিন্টু মেম্বরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে গতকাল
বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।