সম্প্রতি মার্কিন সরকার বিদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোকে শিক্ষার্থী-ভিসার সাক্ষাৎকার স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পোস্ট পর্যালোচনা করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানায়। চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সিজিটিএন এ সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের জন্য একটি জনমত জরিপ চালায় সম্প্রতি।
জরিপের ফল অনুসারে, ৮২.১ শতাংশ উত্তরদাতা একাডেমিক স্বাধীনতার ওপর মার্কিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা জানান। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার গুরুতর লঙ্ঘন ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণ। এ ছাড়া, আদর্শ ও জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে অযৌক্তিকভাবে চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা বাতিল করার বিষয়টিরও তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। ৮৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, মার্কিন পদক্ষেপ চীনা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বাধা সৃষ্টি করেছে।
জরিপ অনুসারে, ৮২.৫ শতাংশ উত্তরদাতা সামাজিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চরম চাপ প্রয়োগ ও প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য মার্কিন সরকারের সমালোচনা করেন; ৮২.৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, এই ডিক্রিগুলো মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, একাডেমিক স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতাকে সীমিত করেছে; ৮৮.৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ও শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য আইনি অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়টিকে সমর্থন করেন।
এ ছাড়া, ৮৬.৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, মার্কিন সরকারের বারবার বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে নীতি ও বিবৃতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনাম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের আকর্ষণকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে; ৮৮.৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো স্পষ্টতই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এটি তাদের ‘স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততা’ নীতির লঙ্ঘন।
জরিপটি সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি এবং রুশ ভাষা প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোট ৬৮৮৬ জন বিদেশী নেটিজেন জরিপে অংশগ্রহণ করেন। সূত্র:ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
Leave a Reply