পিতার দেখানো পথে সি চিন পিং

‘সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ানো।’ ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাবা যেখানে আগে কাজ করতেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সুই ত্য প্রিফেকচার কমিটির পুরোনো কার্যালয়ে, সি চিন পিং একটি প্রদর্শনী হলের দেয়ালের লেখা পড়ে শোনান। এটি ছিল কমরেড সি চোং সুনের একটি পুরোনো উক্তি। কমরেড সি চোং সুন হলেন সি চিন পিংয়ের বাবা।

সি চিন পিং একটি বিপ্লবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা,সি চোং সুন ছিলেন ‘জনগণের একজন নেতা’। ছোটবেলা থেকেই সি চিন পিং তাঁর বাবার মাধ্যমে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
২০২২ সালের মার্চে, একটি মতবিনিময় সভায় সি চিন পিং তাঁর পিতা সম্পর্কে বলেন, “কমরেড মাও সে তুং বলতেন, আমার পিতা ছিলেন ‘জনগণ থেকে উঠে আসা জনগণের নেতা’। এর অর্থ হলো, যদি আমরা জনগণকে পরিবারের মতো মনে করি, তবে জনগণও আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য করবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের যত্ন নিই, তবে জনগণ আমাদের সমর্থন করবে।”

সি চোং সুন সবসময় বাচ্চাদের এই দিকনির্দেশনা দিতেন: ‘আমাদের উচিত প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ঠিক যেমন বরফ পড়ার দিনে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।’ যখনই তাঁর সন্তানেরা সাধারণ মানুষের সাথে মিশতো, সি চোং সুন খুব খুশি হতেন।

সি চিন পিংয়ের ছোট ভাই, সি ইউয়ান পিং স্মরণ বলেন, তাঁর পিতা সারা জীবন ‘প্রয়োজনের সময় সাহায্য করা’র এই চেতনা লালন করেছেন এবং তাঁদের জন্য একটি আদর্শ ও নীতি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
সি চিন পিং তাঁর পিতার চেতনাকে ধারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যাই করি না কেন, গণকল্যাণ বৃদ্ধি বাস্তবায়ন করতে হবে। গণকল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে এবং জনগণকে একটি উন্নত জীবন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে হবে।”

‘সি চিন পিং, তুমি যতই বড় কর্মকর্তা হও না কেন, নিষ্ঠার সাথে জনগণের সেবা করতে এবং আন্তরিকভাবে তাদের কথা ভাবতে কখনো ভুলে যেও না।’জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সি চিন পিং তাঁর পিতার এই কথা স্মরণ রেখেছেন এবং জনগণের জন্য একটি সুন্দর জীবন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-ফেইফেই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।