চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই ২৩ জুন,সোমবার বেইজিংয়ে পৃথকভাবে ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লেয়ার এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ব্লেয়ারের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, গত বছর প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার যথাক্রমে ফোনালাপে এবং মুখোমুখি বৈঠক করেন এবং তাঁদের নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সঠিক পথে ফিরে এসেছে। ব্রিটেন যে একটি টেকসই, দীর্ঘমেয়াদি ও পারস্পরিক সম্মানের চীন নীতি অনুসরণ করার কথা উল্লেখ করেছে, বেইজিং তাকে গুরুত্ব দেয়। আশা করা যায়, ব্রিটেন চীনের সঙ্গে দুই দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়ন করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ব্লেয়ার বলেন, চীনকে একঘরে করা সফল হবে না, বরং বিশ্বের উচিত চীনকে আরও ভালোভাবে জানা। ব্রিটেন ও চীনের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের উচিত বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি মহলের মধ্যে সংলাপ ও বিনিময় জোরদার করা এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা বাড়ানো।
দোভালের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট সি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়ার কাজানে সাক্ষাৎ করেছেন এবং দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মতৈক্য অর্জিত হয়েছে। চীন ও ভারতের উচিত ‘একে অপরের জন্য হুমকি নয়, বরং উন্নয়নের সুযোগ; প্রতিযোগী নয়, বরং অংশীদার’এই ধারণায় অবিচল থেকে সংবেদনশীল সমস্যাগুলোকে যথার্থভাবে সমাধান করা এবং সীমান্ত অঞ্চলের শান্তি রক্ষা করা।
দোভাল বলেন, দুই পক্ষের উচিত সুদূরপ্রসারী ও কৌশলগত দৃষ্টিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দেখা, পারস্পরিক সমঝোতা ও সহনশীলতা বজায় রাখা এবং অভিন্ন স্বার্থকে প্রসারিত করা। চীনকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র হিসেবে সফলভাবে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ভারত সমর্থন করে।
সূত্র: শিশির-তৌহিদ-শুয়েই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
Leave a Reply