জুলাই ২৪: ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চীন এবং ইইউ উভয়ই ‘বড় পক্ষ’। আমাদের অবশ্যই চীন-ইইউ সম্পর্কের উন্নয়নের সঠিক দিকটি দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের আরও উজ্জ্বল পরবর্তী ৫০ বছর সৃষ্টি করতে কাজ করতে হবে’। সম্প্রতি চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই মন্তব্য ব্যাপক আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন) ১০টি প্রতিনিধিত্বশীল ইউরোপীয় দেশের ৩ হাজার ৮৯৫ জন মানুষের উপর চালানো জরিপে দেখা গেছে, উত্তরদাতারা চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের ফলাফল ইতিবাচক মূল্যায়ন করে, চীন-ইইউ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত সম্পর্ক আশাবাদী, এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখা, চীনের সঙ্গে বহুমেরু বিশ্বকে উন্নীত করা ও সত্যিকারের বহুপক্ষবাদ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে, ৭টি দেশের মানুষের চীন সম্পর্কে ৬০ শতাংশের বেশি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। উত্তরদাতারা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে চীনের উন্নয়ন অর্জন সম্পর্কে প্রশংসা করে: ৮৬ শতাংশের উত্তরদাতা মনে করে চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী, ৭৩.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক উন্নয়ন সম্পর্কে আশাবাদী, ৭৮.১ শতাংশের উত্তরদাতা চীনের উদ্ভাবনী ক্ষমতা নিশ্চিত করে, ৮১.৫ শতাংশের উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক বাজারে চীনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান প্রশংসা করে।
‘জরিপকৃত দেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের অবস্থান’ মূল্যায়ন করার সময় ৪৪.২ শতাংশের উত্তরদাতা ‘অংশীদার’ বেছে নিয়েছে, যা ‘প্রতিযোগী’ বেছে নেওয়ার অনুপাতের দ্বিগুণ।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ১০টি দেশের বেশিরভাগ উত্তরদাতা মনে করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য লাভজনক, গড় স্বীকৃতি হার ৬৫.২ শতাংশ। স্বীকৃতি হার সবচেয়ে বেশি ৩টি দেশ হল স্পেন, সার্বিয়া ও ব্রিটেন, যা যথাক্রমে ৭৩.৩, ৭২ ও ৭০.৭ শতাংশ।
যখন ‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, কোনটি বেশি লাভজনক’ জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন সব অংশগ্রহণকারী দেশে চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি, চীনকে বেছে নেওয়ার অনুপাত ৩৭.২ শতাংশে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় অংশীদারের উপর শুল্ক আরোপের পটভূমিতে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির ৬০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করে বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: তুহিনা-হাশিম-স্বর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
Leave a Reply