কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট স্পিকার তুরগুনবেক উলুর আমন্ত্রণে, চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান চাও ল্যচি, গত ২৩ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সেদেশ সফর করেন।
সফরকালে তিনি বিশকেকে কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভের সঙ্গে দেখা করেন এবং পার্লামেন্ট স্পিকার তুরগুনবেক উলুর সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাপারভের সাথে সাক্ষাতে চাও ল্যচি বলেন, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদ্বয়ের ব্যক্তিগত যত্নে, চীন-কিরগিজস্তান সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হয়েছে ও ইতিহাসের সেরা সময়ে প্রবেশ করেছে। চীন কিরগিজস্তানের সাথে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কৌশলগত নির্দেশনা অনুসরণ করতে, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করতে, একে অপরের মূল স্বার্থসম্পর্কিত বিষয়গুলিতে পরস্পরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যেতে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ স্কেল বাড়াতে এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি করতে ইচ্ছুক।
জাপারভ বলেন, কিরগিজস্তান চীনের মূল স্বার্থ এবং তাইওয়ান, সিনচিয়াং, হংকং ও সিচাংয়ের মতো প্রধান উদ্বেগের বিষয়ে বেইজিংয়ের অবস্থানকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে; প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের প্রস্তাবিত তিনটি প্রধান বৈশ্বিক উদ্যোগকে সমর্থন করে; এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতার যৌথ নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
পার্লামেন্ট স্পিকার তুরগুনবেক উলুর সঙ্গে বৈঠকে চাও চীনের আধুনিকায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারণা ও অর্জনগুলো উপস্থাপন করে বলেন, চীনের আধুনিকায়ন সকল দেশের উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ প্রদান করবে।
তুরগুনবেক উলু বলেন, কিরগিজ পার্লামেন্ট চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক, যাতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সম্পাদিত ঐকমত্য যৌথভাবে বাস্তবায়ন করা যায়; “বেল্ট অ্যান্ড রোড”-এর উচ্চমানের যৌথ নির্মাণকে উৎসাহিত করা যায়; অর্থনীতি, বাণিজ্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়; এবং বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা যায়।
কিরগিজস্তান সফরের সময়, চাও ল্যচি চীন-কিরগিজস্তান-উজবেকিস্তান রেলওয়ে কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন করেন এবং উরকুন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সূত্র:জিনিয়া-আলিম-ফেই, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
Leave a Reply