চীন মিয়ানমারের সাথে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ নির্মাণে কাজ করবে: সি চিন পিং

মস্কোয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের অবকাশে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত ৯ই মে,(শুক্রবার) বিকালে, মিয়ানমারের নেতা মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি চিন পিং বলেন, চলতি বছর হলো দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। চীন মিয়ানমারের সাথে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ নির্মাণকাজ জোরদার করবে, উচ্চ মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে, ও বিশ্ব উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সভ্যতার তিনটি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।

সি বলেন, চীন মিয়ানমারকে নিজের জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে; সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে; এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এজেন্ডাকে অবিচলভাবে এগিয়ে নিতে সমর্থন করে। কার্যকরভাবে মিয়ানমারে চীনা কর্মী, প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনলাইন জুয়া ও জালিয়াতিসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচেষ্টা জোরদার করা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। দু’দেশের কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার এবং চীন-মিয়ানমার করিডোরের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

জবাবে মিন অং বলেন, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর, চীন সবার আগে আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করে এবং ত্রাণসহায়তা পাঠায়। মিয়ানমারের জনগণ সবসময় এটা মনে রাখবে। মিয়ানমার চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর বেশ গুরুত্ব দেয়। মিয়ানমার সর্বদা চীনের নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও প্রতিবেশী হতে ইচ্ছুক। মিয়ানমার চীনের সাথে আর্থ-বাণিজ্যিক ও জ্বালানিসম্পদ খাতে সহযোগিতা উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সেদেশে চীনা প্রকল্প ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। চীনা প্রেসিডেন্ট কর্তৃক উত্থাপিত তিনটি বিশ্ব প্রস্তাব এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার প্রস্তাবের উচ্চ প্রশংসাও করেন তিনি। মিয়ানমার চীনের সাথে অভিন্ন চ্যালেঞ্জেল মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।

সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।